বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি (PDF) এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র
বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি PDF
১। বিশেষ্য পদ কাকে বলে? বিশেষ্য পদের প্রকারভেদ উদাহরণসহ লেখো।
উত্তরঃ যে শব্দশ্রেণি দ্বারা কোনো ব্যক্তি, জাতি, সমষ্টি, বস্তু, স্থান, কাল, ভাব, কর্ম বা গুণের নাম বোঝায় তাকে বিশেষ্য বলে। যেমন: থালা, বাটি, টাকা ইত্যাদি।
বিশেষ্য পদ প্রধানত ছয় প্রকার। যথা:
ক. সংজ্ঞা বা নামবাচক বিশেষ্য: যে শব্দ দ্বারা সুনির্দিষ্টভাবে কোনো ব্যক্তি, স্থান, দেশ, দিন, মাস, বই, গল্প, নাটক, উপন্যাস, কবিতা, পত্রিকা, চিত্রকর্ম, শিল্পকর্ম ইত্যাদির নাম বোঝায় তাকে সংজ্ঞা বা নামবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: শ্রীকান্ত, কমলা, আষাঢ়, বঙ্গাভাষা, সংশপ্তক, মোনালিসা ইত্যাদি।
খ. সাধারণ বিশেষ্য: যে শব্দ দ্বারা কোনো প্রাণী, উদ্ভিদ, পদার্থ বা অন্য কোনো জাতি বা শ্রেণির নাম বোঝায় তাকে সাধারণ বিশেষ্য বলে। যেমন: মানুষ, পাখি, নদী, পাহাড় ইত্যাদি।
গ. ক্রিয়া বিশেষ্য: যে বিশেষ্য দ্বারা কোনো ক্রিয়া বা কাজের নাম বোঝায় তাকে ক্রিয়া বিশেষ্য বলে। যেমন: দেখা, শোনা, খাওয়া, করা, ধরা ইত্যাদি।
ঘ. বিশেষণজাত বিশেষ্য: বিশেষণের সাথে বিশেষ্যকারী অন্ত্যপ্রত্যয় যোগ করে যে বিশেষ্য গঠিত হয় তাকে বিশেষণজাত বিশেষ্য বলে। যেমন: ঘনত্ব (ঘনত্ব), পটুত্ব (পটু ত্ব), নষ্টামি (নষ্ট + আমি) ইত্যাদি।
ঙ. প্রয়োগ-নির্ধারিত বিশেষ্য: প্রয়োগজনিত কারণে যে বিশেষণ কখনো বিশেষ্যের ভূমিকা গ্রহণ করে তাকে প্রয়োগ-নির্ধারিত বিশেষ্য বা প্রয়োগ বিশেষ্য বলে। যেমন: রনি খুবই অসুস্থ (বিশেষণ)। অসুস্থদের (বিশেষ্য) নিয়মিত সেবা করা উচিত।
চ. অন্বয়গত বিশেষ্য: যেসব সংখ্যাবাচক শব্দ বা বিভক্তিযুক্ত বিশেষণ কখনো কখনো বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তাদের অন্বয়গত বিশেষ্য বলে। যেমন: আমি আপনাদের কোনোকিছুরই সাত-পাঁচে নেই।
২। উদাহরণসহ সর্বনাম পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো। (বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি)
উত্তর: কোনাে কিছুর নাম, সংজ্ঞা বা ঐ জাতীয় কোনো পদের পরিবর্তে যে নতুন পদ ব্যবহৃত হয় তাই সর্বনাম। যেমন : রুমা ও নাজমা উভয়েই লেখাপড়া করে। কিন্তু পড়ার ফাকে ফাকে তারা তাদের মায়ের কাজে সহযোগিতা করে। এখানে রুমা ও নামার পরিবর্তে বাক্যে ‘তারা’ ও ‘তাদের’ শব্দ দুটি ব্যবহৃত হয়েছে। তাই এ শব্দদুটি সর্বনাম।
নিচে সর্বনামের শ্রেণিবিভাগ করে আলোচনা করা হলো : সর্বনাম সাধারণত নিম্নলিখিতভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা যায় :
১. ব্যক্তিবাচক সর্বনাম : বাক্যের ব্যাকরণিক পক্ষ বা পুরুষ (বক্তাপক্ষ, শ্রোতাপক্ষ, অন্যপক্ষ) নির্দেশ করে। যেমন : আমি, তুমি, তারা। বচনভেদে যেমন এদের রূপের পার্থক্য হয়, তেমনি কারকভেদেও এদের অন্যান্য রূপ তৈরি হয়।
২. আত্মবাচক সর্বনাম : কর্তা নিজেই কোনাে কাজ করেছে এ ভাবটি বােঝানাের জন্য এ ধরনের সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন : তিনি নিজে ঘটনাটা দেখেছে। নাফিস নিজে নিজে হাটতে চেষ্টা করছে।
৩. নির্দেশক সর্বনাম : এ ধরনের সর্বনাম বক্তার কাছ থেকে কোনো কিছুর নৈকট্য , দূরত্ব নির্দেশ করে। যেমন : এ, ইনি, ও, উনি। কাছের ও দূরের এবং অপ্রত্যক্ষ কিছু বোঝাতে আলাদা সর্বনাম ব্যবহার করা হয় বলে নির্দেশক সর্বনামকে তিনটে শ্রেণিতে ভাগ করা যায় :
ক. নিকট নির্দেশক : এ, এরা, এগুলো।
খ. দূর নির্দেশক : ও, ওরা, ওগুলো।
গ. অপ্রত্যক্ষ বা পূর্ববর্ণিত বস্তু নির্দেশক : সে, তা ।
৪. অনির্দিষ্ট সর্বনাম : অনির্দিষ্ট বা পরিচয়হীন কোনো কিছুকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন : কেউ কথা রাখেনি। একজন এখানে এসেছিল।
৫. প্রশ্নবাচক সর্বনাম : প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রশ্ন নির্মাণের জন্য বাক্যে ব্যবহৃত হয়। যেমন : কে, কাকে, কারা কার ইত্যাদি।
৬. সংযােগবাচক সর্বনাম : দুটি বাক্যের সংযোগ ঘটায়। যেমন : আমি তাকে বললাম যে। কাল ঢাকা যাব। আমি বলি কি তোমরা আর বৃষ্টিতে ভিজো না ।
৭. সাপেক্ষ সর্বনাম : একে অন্যের উপর নির্ভরশীল যুগল সর্বনাম। যেমন : যেমন কর্ম তেমন ফল। জোর যার মুলুক তার ।।
৮. পারস্পরিক সর্বনাম : দুপক্ষের সহযোগ বা পারস্পরিক নির্ভরতা বােঝায়। যেমন : তারা নিজেরা নিজেরা কাজটি করে। আমরা পরস্পর বন্ধু ।
৯. সকলবাচক সর্বনাম : ব্যক্তি, বস্তু বা ভাবের সমষ্টিকে বােঝায়। যেমন : সবাই গ্রামে যেতে চাইছে। সকলেই পড়া মুখস্থ করেছে।
১০. অন্যবাচক সর্বনাম : নিজ ভিন্ন অন্য কোনো অনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।। যেমন : অপরে পারলে তুমি কেন পারবে না? অমুকের কাছে গেলে ওর খোঁজ পাবে ।
৩। আবেগ শব্দ কাকে বলে? উদাহরণসহ বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: যে শব্দ বাক্যের অন্য শব্দের সাথে সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে ভাব প্রকাশে সহায়তা করে তাকে আবেগ শব্দ বলে। যেমন: আরে, তুমি আবার কখন এলে! উঃ, ছেলেটির কী কষ্ট!
নিচে আবেগ শব্দের প্রকারভেদ উল্লেখ করা হলো:
ক. সিদ্ধান্তবাচক আবেগশব্দ: যেসব শব্দ দ্বারা অনুমোদন, সম্মতি, সমর্থন ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করা হয় সেসব শব্দকে সিদ্ধান্তবাচক আবেগশব্দ বলা হয়। যেমন: উদ্বু, ওটা ধরবে না। বেশ, তোমার কথাই মানলাম।
খ. প্রশংসাবাচক আবেগশব্দ: যেসব শব্দ প্রশংসা বা তারিফের মনোভাব প্রকাশ করে সেসব শব্দকে প্রশংসাবাচক আবেগশব্দ বলে। যেমন: শাবাশ! চমৎকার রেজাল্ট করেছ। বাঃ! তোমার জামাটা খুব সুন্দর।
গ. বিরক্তিবাচক আবেগশব্দ: অবজ্ঞা, ঘৃণা, বিরক্তি ইত্যাদি মনোভাব যেসব শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয় সেসব শব্দকে বিরক্তিবাচক আবেগশব্দ বলে। যেমন: ছিঃ! এমন কাজটা তুমি করতে পারলে। কী অসহ্য, আর কতক্ষণ অপেক্ষা করব!
ঘ.ভয় ও যন্ত্রণাবাচক আবেগশব্দ: যেসব শব্দ দ্বারা আতঙ্ক, যন্ত্রণা, কাতরতা ইত্যাদি প্রকাশ পায় সেসব শব্দকে বলা হয় ভয় ও যন্ত্রণাবাচক আবেগশব্দ। যেমন: উঃ কী যে যন্ত্রণা। ও মা! কী অন্ধকার।
ঙ. বিস্ময়বাচক আবেগশব্দ: এ ধরনের আবেগশব্দ বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়ার মনোভাব প্রকাশ করে। যেমন: আরে তুমি তাহলে এসেই পড়েছ! তাই! ও ফিরে এসেছে?
চ. করুণাবাচক আবেগশব্দ: যেসব শব্দ দ্বারা করুণা বা সহানুভূতিমূলক মনোভাব প্রকাশ পায় সেসব শব্দকে বলা হয় করুণাবাচক আবেগশব্দ। যেমন: আহা! ছেলেটার মা-বাবা কেউ নেই। হায়! হায়! এখন সে যাবে কোথায়।
ছ. সম্বোধনবাচক আবেগশব্দ: এ ধরনের আবেগশব্দ সম্বোধন বা আহ্বান করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন: হে মহান, তোমাকে অভিবাদন। ওরে, যানে। আলংকারিক আবেগশব্দ: যেসব আবেগশব্দ বাক্যের অর্থের
জ.কোনোরকম পরিবর্তন না ঘটিয়ে কোমলতা, মাধুর্য ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য এবং সংশয়, অনুরোধ, মিনতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশের জন্য অলংকার হিসেবে ব্যবহৃত হয় সেসব শব্দকে বলা হয় আলংকারিক আবেগশব্দ। যেমন: মা. গো মা! এমন রসিকতাও কেউ করো! দূর পাগল! এসব নিয়ে অত ভাবতে নেই।
৪। ক্রিয়ার শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা কর ।
উঃ যে শব্দ বাক্যের ক্রিয়াকে বিশেষিত করে তাকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে। ক্রিয়া- বিশেষণ ক্রিয়া সংঘটনের ভাব, কাল বা রূপ নির্দেশ করে। এটি ক্রিয়ার গুণ, প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য ও অর্থ—প্রকাশক শব্দ হিসেবে কাজ করে এবং ক্রিয়া সময়, স্থান, প্রকার, উৎস, তীব্রতা, উপকরণ ইত্যাদি প্রকৃতিগত অবস্থার অর্থগত ধারণা দেয়। যেমন: সে দ্রুত দৌড়াতে পারে। ধীরে ধীরে বায়ু বয়। ক্রিয়াবিশেষণের অর্থ ও অন্বয়গত শ্রেণিবিভাগ
১. ভাবজ্ঞাপক ক্রিয়াবিশেষণ: কোনো ক্রিয়া কীভাবে বা কেমনভাবে সংঘটিত হল তা বোঝায়। এগুলোর বেশির ভাগ গঠিত হয় ‘ভাবে’ বা ‘রূপে’ শব্দ যোগে। যেমন: সে দ্রুত দৌড়াতে পারে। কাজটা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
২. সময় বা কালজ্ঞাপক ক্রিয়াবিশেষণ: এ জাতীয় ক্রিয়াবিশেষণ একশাব্দিক হলে প্রায়শই বিভক্তিহীন বা শূন্যবিভক্তিযুক্ত হয় অথবা এ/−য়/–তে যুক্ত হয়। যেমন— আজ যখন সে আসবে তখন তাকে থাকতে বলো। সেদিন তোমাকে পাই নি। অনেক ক্ষণ ধরে তার জন্যে বসে আছি।
৩. স্থানজ্ঞাপক ক্রিয়াবিশেষণ: এ জাতীয় ক্রিয়াবিশেষণ একশাব্দিক হলে এগুলোর শেষে প্রায়শই স্থানবাচক অধিকরণ—বিভক্তি/এ/—/—তে যুক্ত হয়। যেমন: আমার সামনে দাঁড়াও। এখানে বস। বড় আপা চট্টগ্রামে থাকেন।
৪. সংযোজক ক্রিয়াবিশেষণ: এ জাতীয় ক্রিয়াবিশেষণ দুটি বাক্যকে সংযোগ করে। জটিল বাক্যেও (যদি…. তাহলে, যিনি …. তিনি) ক্রিয়াবিশেষণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন: কাজে তার মন নেই, তাছাড়া সে কাজ পারেও না।
৫. না-বাচক ক্রিয়াবিশেষণ: এ ধরনের ক্রিয়াবিশেষণ বাক্যকে না-বাচক বৈশিষ্ট্য দেয়। যেমন— তিনি গতকাল ঢাকায় যান নি। আমটা মিষ্টি নয়। ছেলেটা দুষ্টু নয়।
৫। ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি কাকে বলে? ব্যাকরণিক শব্দ কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ আলোচনা কর।
ব্যাকরণগত অবস্থনের ভিত্তিতে বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে যে কয় ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, তাকেই ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি বলে। ব্যাকরণিক শব্দ আট প্রকার। যথা—
ক.বিশেষ্য: যে শব্দ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, জাতি, গোষ্ঠী, সমষ্টি, গুণ বা অবস্থার নাম বোঝায় তাকে বিশেষ্য বলে। যেমন—থালা, বাটি, টাকা, ঢাকা, ছাগল, বাঁশ, মাছ, দয়া, মায়া, সততা।
খ. সর্বনাম : বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম বলে। যেমন—উর্মি একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। সে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে। কলেজে তার উপস্থিতি নিয়মিত। তাকে সব শিক্ষক আদর করেন। এখানে সে, তার, তাকে সর্বনাম।
গ. বিশেষণ : যে শব্দ দ্বারা বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়ার দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাপ ইত্যাদি প্রকাশ পায়, তাকে বিশেষণ বলে। যেমন— নীল আকাশ, সবুজ বাংলা, প্রথম স্থান, দশ কেজি, শান্ত নদী।
ঘ. ক্রিয়া: যে শব্দ দ্বারা কোনো কিছু করা, হওয়া, ঘটা ইত্যাদি বোঝায় তাকে ক্রিয়া বলে। যেমন—অনয় কাঁদছে। শিউলি ফুল তুলছে। বৃষ্টি হবে।
ঙ. ক্রিয়া বিশেষণ: যে শব্দ বাক্যের ক্রিয়াকে বিশেষিত করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন— গাড়িটি দ্রুত চলতে শুরু করল। অনিম জোরে হাঁটে। সামিয়া গুনগুনিয়ে গান গাইছে।
চ. আবেগ শব্দ: যে শব্দ বাক্যের অন্য শব্দের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে মনের বিশেষ ভাব বা আবেগ প্রকাশ করে, তাকে আবেগ শব্দ বলে। যেমন—হায়! এটা তুমি কী করলে! উঃ! কী অবস্থা! বাহ্! কী সুন্দর দৃশ্য।
ছ. যোজক: যে শব্দ একটি বাক্যাংশের সঙ্গে অন্য একটি বাক্যাংশ অথবা বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য একটি শব্দের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায়, তাকে যোজক বলে। যেমন— সারা দিন বৃষ্টি হলো তবুও গরম গেল না। তুমি খাবে আর তামান্না পড়বে। ব্যাগটা শক্ত করে ধরো, নইলে পড়ে যাবে।
জ. অনুসর্গ : যে শব্দ কখনো স্বাধীনরূপে, আবার কখনো বা শব্দবিভক্তির ন্যায় ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, তাকে অনুসর্গ বলে। যেমন— দিনের পরে রাত আসে। রান্নার জন্য রাঁধুনি ব্যাকুল।
৬। উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে’—বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ অর্থহীন অথচ অর্থদ্যোতক যেসব অব্যয় নাম শব্দ বা কৃদন্ত শব্দের আগে বসে শব্দগুলোর অর্থ সংকোচন, প্রসারণ বা অন্য কোনো পরিবর্তন সাধন করে থাকে, তাদের বাংলায় উপসর্গ বলে।
উপসর্গের কোন অর্থবাচকতা নেই, অর্থদ্যোতকতা আছে মাত্র। এগুলো নাম শব্দ বা কৃদন্ত শব্দের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে যদি স্বাধীনভাবে থাকে, তাহলে এদের কোনো অর্থ হয় না। আর যদি নাম শব্দ বা কৃদন্ত শব্দ কোনো একটির সঙ্গে যুক্ত হয়, তবেই এগুলো আশ্রিত শব্দকে অবলম্বন করে বিশেষ বিশেষ অর্থদ্যোতকতা সৃষ্টি করতে পারে।
তবে বাংলায় ‘অতি’ ও ‘প্রতি’ এ দুটো উপসর্গ কখনো কখনো স্বাধীনভাবেও প্রয়োগ হতে পারে ।
0 Comments